বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে আশ্বাস দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগত রমজানের পর বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সফরে যাবেন দুবাই চেম্বারের সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির দুবাই চেম্বারের সঙ্গে এফবিসিসিআই এর এক বৈঠক শেষে এসব বিষয়ে জানা যায়। এসময় বৈঠকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের আগ্রহ ও আশ্বাস প্রকাশ করেন দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী লোথা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ সরকারের ভিশন-২০৪১ সহ বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতগুলো তুলে ধরেন। তিনি বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, পায়রা ও মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ব্যাপক বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরির কথা উল্লেখ করে জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে এ সুবিধা নিতে পারেন।
এতে এফবিসিসিআই এর সভাপতি দুবাইকে বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহী করতে উদাহরণ স্বরূপ জাপান, ভারত ও কোরিয়ার বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে উল্লেখ করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি দুবাইকেও একই ধরনের সুযোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেন।
এ সময় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিনিময়, ব্যবসায়িক তথ্য আদান প্রদানসহ বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী লোথা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বড় বড় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু খাতে আমরা কাজ করতে আগ্রহী। আর স্বল্প পরিসরে এটি শুরু হতে পারে ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে।
পরে দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি জেনে খুশি দুবাই চেম্বারের কর্মকর্তারা তারা নির্ধারিত কিছু খাতে বিনিয়োগ করতে চান। তাতে ভালো ফলাফল মিললে বড় পরিসরে কাজের পরিবেশ তৈরি হবে।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে অংশ নেন দুই পরিচালক সালেহীন এফ নাহিয়ান ও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, আবুধাবি দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মিজানুর রহমান ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার। অন্যদিকে দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী লোথার নেতৃত্বে দেশটির গ্লোবাল মার্কেটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেম আল শামসি, ডিরেক্টর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপস অ্যান্ড প্রটোকল অফিসার সুমায়া আল শামসি প্রমুখ।
জেআই/
Discussion about this post