বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে দিতে চান। তিনি প্রতিষ্ঠাতার সহধর্মিণীর নাম মুছে দিতে চান। জি এম কাদের তার কয়েকজন অনুগতসহ এবার প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এমন নানান অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের নয়টি থানার ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৬৮ জন নেতাকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গণপদত্যাগের কথা জানান দলটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, আমরা তিলে তিলে জাতীয় পার্টি গড়ে তুলেছি। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার নাম মুছে দিতে চান। তিনি প্রতিষ্ঠাতার সহধর্মিণীর নাম মুছে দিতে চান। জি এম কাদের তার কয়েকজন অনুগতসহ এবার প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমরা এই জাতীয় পার্টি কখনোই মানি না, মানব না। দলটি থেকে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করবেন বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই জি এম কাদের বলে আসছেন, জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৬টি আসনে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে তারা গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। সমঝোতা করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ মাত্র ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে এমপি হয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, জি এম কাদের পার্টির নেতাকর্মীদের প্রতিবাদের ভাষা বুঝতে না পেরে প্রতিহিংসাবশত পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ ছাড়াও কয়েকজন নেতাকে মৌখিকভাবে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন। আমরা এরশাদ প্রেমিক নেতাকর্মীরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জি এম কাদেরের সংগঠন থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়সহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post