ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে হল কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে হল কর্তৃপক্ষের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে আমরা দুপুর ১২টায় মিটিং করি। প্রতিবেদনে পাঁচ অভিযুক্তের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই আমরা তাদের আবাসিকতা বাতিল করেছি। আগামী ১ মার্চ দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী ছাড়া অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান,, আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হালিমা খাতুন উর্মী।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের একটি গণরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগে উঠে। এতে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী, তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীর নামে প্রশাসন কাছে ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ করেন ফুলপরী। বিষয়টি সামনে এলে দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালে বাধ্য হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনও তদন্ত কমিটি গঠন করে।
Discussion about this post