প্রায় ৪০ দিন ধরে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর হাসপাতাল মর্গে রেজাউল করিম (৪৫) এক বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে আছে। গত ১২ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। পাসপোর্ট থেকে নাম জানা গেলেও এখন পর্যন্ত তার পরিবারের সন্ধান মেলেনি। ফলে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোও সম্ভব হচ্ছে না।
পাসপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার সাইলজানা গ্রামের আব্দুল কাইয়ূম ও সুফিয়া বেগমের ছেলে। তবে ওই ঠিকানায় রেজাউলের পরিবারের সন্ধান না পাওয়ায় তার মরদেহ হস্তান্তর করতে পারছে না বাংলাদেশ হাইকমিশন।
রেজাউল করিমের মৃত্যুর এক মাস পরেও পরিবারের সন্ধান না পেয়ে মরদেহ দেশে পাঠাতে বা স্থানীয়ভাবে (মালয়েশিয়া) দাফনের ব্যাপারে পরিবারের সম্মতি নিতে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে হাইকমিশন। গত ১২ জানুয়ারি হাইকমিশনের শ্রম শাখার প্রথম সচিব এ এস এম জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব নিশ্চিত এবং মরদেহের দাবিদার না পাওয়া পর্যন্ত রেজাউল করিমের মরদেহ দেশে পাঠানো সম্ভব নয়। পরিবারের সম্মতি নিয়ে হাইকমিশনকে অবহিত করার জন্যও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর- রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজাউল করিমের পরিবারের সন্ধানে স্থানীয়ভাবে খোঁজ-খবর নিয়েছি। কিন্তু এই ঠিকানায় এমন কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে, মৃত রেজাউল করিমের পরিবারের সন্ধানে হাইকমিশনের অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি পরিচিতজন বা স্বজনদের হাইকমিশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
Discussion about this post