বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল আর্ট সেন্টারে চলছে চিত্র প্রদর্শনী “বিজয়”। ১২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই চিত্র প্রদর্শনী চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ফুনুন আর্টস ও মাহফুজ ক্যানভাসের যৌথ আয়োজনে পাওয়ারপ্যাক নিবেদিত “বিজয়” প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন ৫৭ জন বাংলাদেশি এবং ২৩টি ভিন্ন জাতীয়তার শিল্পী। আন্তর্জাতিক এ চিত্র প্রদর্শনীতে ৮০ জন শিল্পীর ৮০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি.এম. জামাল হোসেন এই মেগা আর্ট ইভেন্টের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি হয়েছিলেন। বি.এম জামাল হোসেন বলেন, ‘এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করবে যেখানে শিল্প, মতাদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা সারা বিশ্ব একত্রিত হবে। তিনি নিজেও একজন স্বশিক্ষিত শিল্পী। তার সবচেয়ে পছন্দের পেইন্টিং মাধ্যম কাগজ ও কলম । তিনি এই চিত্রপ্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ৫১তম বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের শিল্পীদের সাথে যোগদানকারী অন্যান্য জাতীয়তার শিল্পীদেরও ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও সকল অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং দেশকে গর্বিত করে এমন আরও অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
মাহফুজ ক্যানভাসের প্রতিষ্ঠাতা মাহফুজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ প্রচেষ্টাকে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক অর্জন হিসেবে দেখছি আমরা। এটি স্বশিক্ষিত বাংলাদেশি শিল্পীদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক শিল্প প্রদর্শনী। এছাড়াও তিনি এই ইভেন্টে সহায়তার জন্য কনসাল জেনারেল বি.এম জামাল হোসেন এবং টাইটেল স্পন্সর পাওয়ারপ্যাককে তার অশেষ ধন্যবাদ জানান।
ফুনুন আর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শিবা খান জানান,’আমাদের প্রতিটি ইভেন্টের আলাদা নিজস্বতা থাকে। আমরা ইভেন্টিকে আমাদের শিল্পীদের পাশাপাশি অতিথিদের জন্য স্মরণীয় অভিজ্ঞতা করতে কাজ করে থাকি। আমরা প্রতিটি রাষ্ট্র এবং তাদের সংস্কৃতির স্বতন্ত্রতাকে মূল্যায়ন করি। আরও জানান “বিজয়” ছিল এরকমই সংস্কৃতির মিশ্রণ এবং যা আমাদের সকলের জন্য অবিস্মরনীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
কিংবদন্তি শিল্পী আহমদ আল আওয়াধি প্রদর্শনীটির থিমকে সময়োপযোগী বলে এর প্রশংসা করেন । মি রুকনি জানান, বিশ্বকে আবার ভালবাসার ভাষা শিখতে হবে কারণ মানুষ বস্তুগত সম্পদের দৌঁড়ে ছুটতে গিয়ে মানবতার ভুলে গেছে। বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিজয় এর মতো উদ্যোগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিল্প আমাদের সেই ভুলে যাওয়া মূল্যবোধগুলিকে ফিরিয়ে আনতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
ফুনুন আর্টস এক দশক ধরে আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে আসছে এবং তাদের মুলমন্ত্র হলো, একতাই সাফল্য, একত্রে কাজ করাই অগ্রগতি। ছয়জন শিল্পী নিয়ে যাত্রা শুরু করা ফুনুন আর্টস বর্তমানে এখন বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের ৬০০ শিল্পীকে ছাড়িয়ে একটি বিশাল দল।
Discussion about this post