চলতি বিশ্বকাপে রেফারিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কয়েকবারই। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ম্যাচে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারিরা। তবে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের বিতর্কিত রেফারিং যেন সব ছাপিয়ে গিয়েছে।
ওই ম্যাচে দেখা গেছে, এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম বাজে রেফারিং। স্প্যানিশ রেফারি মাতেও লাহোজ একটি বা দুটি নয়, দুই দলের খেলোয়াড়দের কমপক্ষে ১৫টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। তার হলুদ কার্ড থেকে রক্ষা হয়নি বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররাও। হলুদ কার্ড দেখেছেন কোচ, সহকারী কোচও।
ম্যাচ শেষে তাই খেলোয়াড়, দর্শক ও বিশেষজ্ঞরা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন রেফারিংয়ের মান নিয়ে। আর্জেন্টিনা কিংবা নেদারল্যান্ডস, দু‘দলের কেউই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না। ডাচ খেলোয়াড়েরা মুখ না খুললেও চুপ করে থাকেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘রেফারিং নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইলেও বলতে পারছি না, কারণ তাহলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। কিন্তু মাঠে কী ঘটেছে তা দর্শকেরা দেখেছেন। আমার মতে ফিফার উচিত এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং সুরাহা করা। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এ ধরনের রেফারিং আশা করা যায় না।’
মেসির কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের কণ্ঠেও। তার ভাষা ছিল আরো প্রতিবাদী, আরো স্পষ্ট।
মার্টিনেজ বলেন, ‘রেফারি নেদারল্যান্ডসের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছিলেন। শেষে সংযুক্তি সময় হিসেবে ১০ মিনিট দেয়ার কোনো কারণ ছিল না। বক্সের বাইরে থেকে একের পর এক ফ্রি কিক দিয়েছেন তিনি নেদারল্যান্ডসকে। তিনি চাচ্ছিলেন যাতে যে করেই হোক, ওরা একটা গোল করতে পারে। আশা করি এই রেফারিকে আর কোনো ম্যাচে আমরা দেখব না। তিনি একেবারে অকাজের।’
শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ও সতীর্থদের ইচ্ছেটাই পূরণ করল ফিফা। ফলে বিশ্বকাপের অবশিষ্ট চার ম্যাচে তিনি আর কোনো ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করবেন না বলে খবর বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ডেইলি মেইল দাবি করেছে বিতর্কিত রেফারিংয়ের কারণে মাতু লাহোজকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post