কুয়েতে জনসংখ্যার ভারসাম্যহীনতা ঠিক করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটিতে আসার আগে প্রবাসীদের জন্য একটি ‘দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা’ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়। দক্ষ শ্রম প্রকল্পের স্মার্ট নিয়োগের ধারাবাহিকতা হিসেবে, জনশক্তির জন্য পাবলিক অথরিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নের অনুমোদন পেয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, পেশাদার প্রবাসী কর্মী যেসব ক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে, সেগুলোর জন্য তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলো শ্রম রপ্তানিকারক দেশগুলোতে নিজ নিজ দেশের কুয়েত দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে আরব টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাবলিক অথরিটি অব ম্যানপাওয়ার (পিএএম) কুয়েতে আগমনের উপর জোর দেয়। এক্ষেত্রে কর্মীকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য হওয়ার আগে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হতে হবে। যেখানে শ্রম বাজারে উচ্চ চাহিদা রয়েছে এমন ২০ টিরও বেশি পেশা চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে অন্যান্য পেশাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বেশ কিছু সূত্র বলছে, প্রকল্পের লক্ষ্য হলো দক্ষ শ্রম নিয়োগ নিশ্চিত করা, যা শ্রমবাজারকে উন্নীত করতে অবদান রাখবে। যতটা সম্ভব প্রতিরোধ করা ছাড়াও, অপ্রশিক্ষিত প্রান্তিক শ্রমিকদের প্রবেশকে যতটা সম্ভব রোধ করা। বিশেষ করে যারা সক্রিয়ভাবে ভারসাম্যহীনতায় অবদান রেখেছে।
মৌখিক বা ব্যবহারিক পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাতে ওই কোম্পানিকে (স্পন্সর) টিকেট দিতে হবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, পেশাদার পরীক্ষার একাডেমিক স্বীকৃতি, সাফল্য এবং ব্যর্থতার হার নির্ধারণ করা। যার ওপর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কর্মী আনা বা না আনার ওপর ভিত্তি করে একটি স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ করা। সেই সঙ্গে শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পেশার আধুনিকীকরণ এবং আইন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যা শ্রম বাজার মান-সম্মত করার নিশ্চয়তা দেয়।
Discussion about this post