হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় নন্দিতা নামের এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন সোহানা। বিকেলে নন্দিতা বাসায় এসে দরজা নক করে তুলির সাড়া পাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে কেয়ারটেকারসহ আশপাশের বাসিন্দারা এসে দরজা ভেঙে দেখেন নিজ কক্ষের ভেতর তুলি ঝুলে আছেন।
ওসি বলেন, এরপর হাজারীবাগ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। সোহানা তুলির গ্রামের বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ২০১৮ সাল থেকে ভাড়ায় থাকতেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন সোহানা তুলি। ২০২০ সালে সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন।
পরিবারের দাবি, হয়ত কেউ তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখতে পারে। কারণ তুলির মরদেহ হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিল।
Discussion about this post