চলতি বছরের ২১ নভেম্বর মাঠে গড়াবে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের এই অনুষ্ঠিতব্য এই ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম ও অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে সব জায়গায় রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বড় ভূমিকা।
ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে পরিবহন যোগ্য শিপিং কন্টেইনার ধারা নির্মিত কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড ও ৯৭৪ কন্টেইনার ব্যবহার করে নির্মিত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন মাঠের প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশি নারী চিকিৎসক আয়েশা পারভিন।
কাতারের হামাদ মেডিকেলে কর্মরত আয়েশা এ বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বলেন, ‘২০২১ সালে ফিফা আরব কাপে ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ফিজিশিয়ান কাজ করেছিলাম। আশা করছি, ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ করব। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এটা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়।’
বাংলাদেশি এ চিকিৎসকের সাফল্যে খুশি পরিবার, আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে বাংলাদেশি কমিউনিটি। আয়েশা পারভীনের স্বামী ডাক্তার মাহফুজুল করিম জামসেদ ফিফা বিশ্বকাপের মতো এমন বড় আয়োজনে তার স্ত্রীর অংশগ্রহণে আনন্দিত।
তিনি বলেন, ‘আমার সহধর্মিনী শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করছে এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। সে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব করছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি তাকে অনুসরণ করে অন্যান্য বাংলাদেশি চিকিৎসকরাও এগিয়ে যাবে।’
এদিকে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত স্টেডিয়ামগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা শ্রম দিয়েছে। মহামারির সময়ে আমরা দেখিছি আমাদের চিকিৎসকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ করেছেন। একইভাবে কাতার বিশ্বকাপে যে সব কাজ হবে বা হচ্ছে সেখানে তারা ভূমিকা রেখছে জেনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
তিনি যোগ করেন, ‘গত আরব কাপে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশ্বকাপেও অনেকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসীদের সঙ্গে একযোগ হয়ে কাতার বিশ্বকাপে যে সব দর্শনার্থী আসবেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতিকে পরিচিত করে তোলার চেষ্টা করবে।’
কাতারে স্টেডিয়ামগুলোর ডিজাইনে রয়েছে কাতারের সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহস্য ও নান্দনিক আধুনিকতার ছোঁয়া। ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৯৭৪ স্টেডিয়ামটির। বিশ্বকাপ শেষে কন্টেইনারগুলো খুলে জাহাজে করে অন্য কোনো দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য স্টেডিয়ামটি দান করা হবে বলে জানিয়েছে কাতার সরকার।
Discussion about this post