বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল ৮টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দারা তাকে আটক করেন। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিচালক একেএম সুলতান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের যাত্রী মাসুদ রানাকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে তার স্যুটকেস তল্লাশি করে দুটি বার ও অলঙ্কার মিলে মোট ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম সোনা জব্দ করা হয়। এছাড়া তার সঙ্গে চারটি দামি মোবাইল ও ৯ কেজি নিষিদ্ধ মাদক সীসা ছিল বলেও জানান তিনি।
আটক হওয়া সোহেলের গ্রামের বাড়ি ঢাকার জামালপুর। তার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিয়মিত তার দুবাই যাতায়াত ছিল। চলতি মাসেই সে দুবার দুবাই গিয়েছিল। তার এই ঘন ঘন দুবাই আসা-যাওয়া দেখে তাকে পেশাদার ক্যারিয়ার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে তৃতীয়বারের মতো এক কোটি টাকার আরও একটি সোনার চালান আটক করল শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। বারবার স্বর্ণের চালান আটক হলেও চোরাচালানের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। চালানের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়ারা অধিকাংশই পেশাদার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
সবশেষ ১ জুন আরব আমিরাত থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকেও ৩৪টি সোনার বার এবং ১৪টি সোনার চেইন জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
Discussion about this post