মুহাম্মাদ শোয়াইব,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবা, রাজনৈতিক বিষয়ক পররাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সহকারী মন্ত্রী, জাতিসংঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থায়ী প্রতিনিধি লানা জাকি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য কঠোর কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
আমেরিকার ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এর লিখিত একটি যৌথ প্রবন্ধে তারা বলেন সন্ত্রাসীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসামরিক এলাকাগুলোকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
উল্লেখ্য যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগ এই বিদ্রোহীদের অধিকাংশ আক্রমনকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে। যদিও জানুয়ারির শুরুর দিকে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের কয়েকটি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হুতি বিদ্রোহীরা তাদের টার্গেটে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। সেই ঘটনায় তিনজন নিরীহ পাকিস্তানি ও ভারতীয় নাগরিক মারা যায়। এই হামলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য স্বাধীন দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের যেকোনো আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সংগতিপূর্ণ যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
প্রবন্ধটিতে তারা আরো বলেন হুথি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য তাদের কাছে যাওয়া অবৈধ অস্ত্র ও অর্থের প্রবাহ বন্ধ করতে হবে। কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি তাদেরকে জাতিসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ তালিকায় পুনর্বহাল করতে হবে।
প্রবন্ধটিতে বলা হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুঁথি দেরকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ক্রমে উৎসাহিত করার জন্য সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু এর পরিবর্তে তারা আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। নিষেধাজ্ঞা তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর তারা এখন বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট করছে। “গত বছর হুথিরা সানায় আমেরিকান দূতাবাস লুট করেছে। তারা স্থানীয় কর্মীদের অপহরণ করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ইয়েমেনে একটি মানবিক সহায়তা ডিপোতে বোমা হামলা করেছে। লোহিত সাগরে চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারী একটি জাহাজ আটক করেছে।
Discussion about this post