সাইফুল্লাহ মেহেরুজ্জামান: ৯৫% বাংদেশী বিদেশ পাড়ি জমান শত প্রতিকূলতা ছেদ করে এবং অনেক আশা ভরসা নিয়ে ।
যেমন :
১. বিদেশ যাওয়ার প্রবল আকাঙ্খা ।
২. দেশে একটি ভালো চাকরী না পাওয়া কিংবা ব্যবসা করার সহজ পথ হারিয়ে ফেলা ।
৩. বাপ- দাদার রেখে যাওয়া সম্পদ বিক্রি করে ভিসা কেনা ।
৪. স্ত্রীর গয়না বিক্রি / বন্ধক দেয়া ।
৫. আত্মীয়- অনাত্মীয় ও বন্ধু/ বান্ধবদের কাছ থেকে ধার নেয়া ।
৬. অপারগ অবস্হায় গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা সুদ দেয়ার শর্তে সুদি মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ । এ কাজটি সম্পূর্ণ হারাম ।
৭. সর্বশেষ অত্যন্ত ভালোবাসার মানুষ মা, বাবা , স্ত্রী , সন্তান ও ভাই- বোনদের ত্যাগ করে বিদেশ চলে আসে এক অনিশ্চিত আগামীর সন্ধানে ।
> কেউ সফল হয়। আবার কেউ মাঝ পথে হারিয়ে যায়। সফলতা আর ব্যর্থতার দোদুল্যমান সেতুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে একজন প্রবাসী ।
প্রবাসীদের প্রধান স্বপ্ন..।
দেশে একটি বাড়ি নির্মাণ করা। ৯৯% প্রবাসীর ঘরগুলো থাকে জীর্ণ- শীর্ণ এবং বাপ- দাদার রেখে যাওয়া অত্যন্ত পুরোনো। অনেকটা থাকার অযোগ্য। তাই পরিবারের সবার এবং একজন প্রবাসীর প্রধান স্বপ্ন হয়ে উঠে ” একটি সুন্দর বাড়ি ” । এই সুপ্ত বাসনা নিয়ে একজন প্রবাসী মঙ্গল গ্রহ দেয় পাড়ি ।
চট্টগ্রামের ভাষায় একটি বাস্তব চির সত্য প্রবাদ চালু আছে ।
” নিজুর ঘরত আগি- মুতি মর
“পরর ঘরর চেপ রঅ ডর।”
অর্থাৎ নিজের ঘরে বসে আপনি যা খুশি করেন, কোন সমস্যা নেই। পক্ষান্তরে অন্যজনের ঘরে বসার পূর্বে অনেকক্ষণ চিন্তা করতে হয় । তাঁরা কি ভাবছেন ! আমার বসাটা তাঁরা ভালো চোখে দেখছেন কিনা! অনেকগুলো মানসিক প্রশ্ন ।
একজন প্রবাসীর প্রধান স্বপ্ন ” ঘর নির্মাণের” সাথে আমি শতভাগ একমত। এতে দ্বীমত করার সামান্যতম কারণও নেই। আমিও চাই আমার প্রতিটি প্রবাসী বাংদেশী নিজ মাতৃভূমিতে, নিজ দেশে এবং নিজ গ্রামে একটি মনোরম বাড়ি তৈরী করতে সক্ষম হোক। যেখানে একটু মানসিক শান্তি পেতে পারেন। একটি বাড়ি বিনির্মাণের মধ্যে দিয়ে তাঁর বহু কষ্টের বিদেশ জীবন যেনো সফল হয় । আমি একজন প্রবাসীর ত্যাগ ও কষ্টের প্রতি স্যালুট জানাই। কিন্তু সুদের ভিত্তিতে টাকা গ্রহণ করে বিদেশ যাওয়া জায়েজ নয় ।
সন্তানরা অভ্যস্ত না হলেও সময় মানুষকে অভ্যাস গড়ে নিতে বাধ্য করবেই। এটাই বাস্তবতা ।
লেখক, ইমাম, শারজা আওক্বাফ
আরব আমিরা
Discussion about this post