ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো স্বামী ওবায়দুল হক টুটুল। ফেনী পৌরসভার বারাইপুরে ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১৫ই এপ্রিল। এই মামলায় টুটুলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও পুলিশসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষী ছিলেন ১৯ জন।
২০২০ সালের ১৫ই এপ্রিল শহরের উত্তর বারাহীপুর ভূঞা বাড়িতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ফেইসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে হত্যা করে টুটুল। পরে হত্যাকারী টুটুল নিজেই ৯৯৯ এ খবর দিয়ে পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে টুটুলকে গ্রেপ্তার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও ফেসবুকে প্রচার চালানো মোবাইল জব্দ করে। আসামি টুটুল হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুবজোতি পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
Discussion about this post