নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকাতে থানায় হাজির হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই স্কুলছাত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে নিজের বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে বোঝালে তাঁরা বিয়ে বন্ধ রেখে মেয়ের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সকালে থানায় এসে লিখিতভাবে জানায়, কিছুদিন ধরে তার মা ও খালা তার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। বিয়ের জন্য পাত্রও ঠিক করে ফেলা হয়েছে। বিয়ে না করে মেয়েটি লেখাপড়া করবে বলে পুলিশকে জানায়।
পরে সদর থানা পুলিশের একটি টিম মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে বাল্য বিয়ে আইনত অপরাধ এবং তার কুফল সম্পর্কে বোঝানোর পর মেয়েটির অভিভাবক মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। একই সঙ্গে মেয়ের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করে তারা।
ওসি আরো জানান, ওই মেয়েটির বাবা একজন চা দোকানদার। মা একটি মুড়ি কারখানায় কাজ করেন। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় তাঁরা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মেয়েটির উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, সম্প্রতি পুলিশি হস্তক্ষেপে একই এলাকায় এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করা হলে মেয়েটি অনুপ্রাণিত হয় এবং নিজের বিয়ে বন্ধ করার জন্য থানায় আসে।
Discussion about this post