উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে আমিরাতের আকাশপথ। কিন্তু আমিরাতের বেঁধে দেওয়া শর্তের কারণে বাংলাদেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের আমিরাতে ফিরে যাওয়া এখনও অনিশ্চিত। আমিরাত ভ্রমণের আগে যাত্রীদের ৬ ঘণ্টা ব্যবধানের একটি ‘র্যাপিড পিসিআর টেস্ট’ করার শর্তে ঝুলে গেছে বাংলাদেশিদের ভাগ্য। দেশের বিমানবন্দরগুলোতে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব না থাকায় আটকে থাকা প্রবাসীরা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
বিশ্বের সব দেশের প্রবাসীদের ফেরার অনুমতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সোমবার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়াসহ সব দেশের নাগরিকদের জন্য এ ঘোষণা দিয়েছে ফেডারেল অথরিটি।
এদিকে, দেশে আটকেপড়া প্রবাসীরা বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপনের জন্য ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় মানববন্ধন করছেন।
মঙ্গলবারও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন আমিরাত প্রবাসীরা। কর্মসূচি থেকে দ্রুত দেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার ব্যবস্থা করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
আটকেপড়া প্রবাসী মহিউদ্দিন বেলাল রনি বলেন, দেশের বিমানবন্দরগুলোতে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি জানানো হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দু-তিন দিনের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে সংশ্নিষ্ট ল্যাব স্থাপন করে আমিরাত প্রবাসীদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা না করলে আমরণ অনশন ছাড়া উপায় থাকবে না।
আরেক কর্মজীবী প্রবাসী নারী শাহিদা বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে যেতেই দেশে আসি, ৬ মাস শেষ হলেও এখনো ফিরতে পারছি না, আগামী কয়েক দিনের মাঝে আমিরাতে ফিরতে না পারলে হয়তো চাকরি হারাবো, তাই সরকারের কাছে আবেদন অতিদ্রুত বিমানবন্দরগুলোতে পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করা হোক।
বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিবলী সাদিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমিরাত প্রবাসীরা দেশে আটকে আছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। ফিরে যাওয়ার অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে অনেক প্রবাসীর।
এ অবস্থায় সরকারের উচিত দ্রুত দেশের বিমানবন্দরগুলোতে র্যাপিড পিসিআর টেস্ট ল্যাব স্থাপন করে প্রবাসীদের কর্মস্থলে ফেরার ব্যবস্থা করা।
Discussion about this post