পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা করে রান্না ঘরে লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখেন স্ত্রী। সেই লাশের ওপর বসেই দুইমাস ১৪ দিন রান্নাসহ সব কাজকর্ম করেছেন স্ত্রী আকলিমা বেগম। আর স্বামীকে হত্যা করে নিজেই থানায় গিয়ে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তিনি।
রোমহর্ষক এমনই ঘটনা ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পূর্বশীলমন্দি এলাকায়। এ নির্মম ও বর্বরতা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি আকলিমা। শুক্রবার দুপুর দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেখানো স্থান থেকে স্বামীর লাশ উদ্ধার করে করা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২ মে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শহর শাখা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত মোল্লার (৫০) নিখোঁজ হন। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন স্ত্রী আকলিমা। পরে তদন্তে আকলিমাকেই সন্দেহ করে পুলিশ।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে আরাফাত মোল্লার স্ত্রী আকলিমা বেগমের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সে ভিডিওতে দেখা যায় আকলিমা বেগম তার স্বামী আরাফাত মোল্লাকে যেভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা করছেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেখানো বাড়ির রান্না ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, আরাফাত মোল্লা গত ২ মে সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হলে তার স্ত্রী আকলিমা বেগম ১৫ মে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরাফাত মোল্লাকে পুলিশ খোঁজ করতে থাকে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ৩০ মে দ্বিতীয় দফায় আকলিমা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করতে থাকি। শুক্রবার আকলিমাকে গ্রেফতারের পর তার দেখানো স্থান থেকেই লাশ উত্তোলন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লাশ মাটি চাপা দেওয়ার সময় আকলিমাকে সহযোগিতা করার অপরাধে রিয়াজ (২৫) নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওসি বলেন, স্বামীর পরকীয়ার জন্য তিনি এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমাদের জানান। আরাফাত মোল্লাকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সকালের দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
Discussion about this post