ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বরে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ওই মিছিলকে ঘিরে পুলিশের সাথে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ওই বিক্ষোভ থেকে শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানিসহ ১১ জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মতিঝিল শাপলাচত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা তানজিদ ও সুবর্ণ নামে দুজন আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত এই বিক্ষোভে পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা মশিউর রহমান। তিনি জানান, পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ, কাদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। এ সময় বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর পার হচ্ছিলাম এ সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এখান থেকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়।
তবে রফিকুল ইসলামকে আটকের বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, তারা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এখন পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post