সাইমূম সাদী : আমিরাতের শ্রম বাজার দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ছিলো। শ্রম কেনো, ভিজিট ভিসাও বন্ধ ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে খুলে দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিদিন দেড়, দুই হাজার বাংলাদেশি ভিজিট ভিসায় আমিরাত যাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশই সেখানে গিয়ে ইনভেস্টর ভিসা লাগিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন।
সেখানে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানিরা ভালো একটা অবস্থান তৈরি করে রেখেছেন। শতকরা ৩০% মানুষ ভারতীয়। সেটা দুবাই এয়ারপোর্ট থেকে সুপার মার্কেট সর্বত্র দেখা যাবে। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিতেও ভারতীয়রা এগিয়ে আছেন।
এমন একটা অবস্থায় দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশিদের জন্য যেহেতু খুলে দেওয়া হয়েছে আরব আমিরাতের দরজা সেহেতু উচিত সুযোগের সদ্ব্যবহার করা। দেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে পাঠানো। কিন্তু উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয় পদে পদে বিদেশ যাত্রীদের।
ভিজিট ভিসায় যারাই আরব আমিরাত যাচ্ছে তারা যদি এয়ারপোর্ট কন্টাক্ট আগে থেকেই না করে তাহলে ঢাকা ইমিগ্রেশনে নিশ্চিতই সে বিড়ম্বনার শিকার হবে। একেকজনকে বিশ ত্রিশ হাজার টাকা আগে থেকেই দিতে হয়।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা বলছেন, তাদের ঢাকা টু দুবাইয়ের ফ্লাইটের ভাড়া ৭০-৮০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়৷ কিন্তু পাশের দেশ ভারত থেকে দুবাই পর্যন্ত ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যায়। এ বৈষম্য কেনো এবং কাদের কারণে হচ্ছে কেউ জানে না।
দুবাইয়ে কনস্যুলেট অফিসের অসহযোগিতার কথা নাইবা বললাম, কিন্তু এয়ারপোর্টে কন্টাক্ট বাণিজ্য এবং বিমান ভাড়ার এই বিশাল পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে। কিন্তু কে করবে কাজটা? আমাদের গণমাধ্যমগুলোও এক্ষেত্রে নিরব।
অথচ উচিত ছিলো আরব আমিরাতের শ্রম মার্কেটকে যথাযথভাবে ব্যাবহার করার, নিজেদের লোকজনকে ওখানে ইন করানোর৷
Discussion about this post