বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে প্রাণের পণ্য। সে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপের পণ্য আমিরাতের আনাচে কানাচে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক রেন্ট এ কার কোম্পানী ডলার “Dollar” র সাথে চুক্তি করছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠান।
আজমান ফ্রি জোন অফিসে প্রাণের আরব আমিরাত প্রতিনিধি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড এর পক্ষে গাড়ির চাবি বুঝে নেন প্রতিষ্ঠানটির আমিরাত’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব। ডলার “Dollar” রেন্ট এ কার থেকে প্রাণ গ্রুপ কমার্শিয়াল ও নন কমার্শিয়াল মিলে মোট ২৫০ টি গাড়ি নেওয়া হয়েছে।
আরব আমিরাতে প্রাণের পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে সেবার মান উন্নত করে গ্রাহকের নিকট দ্রুত মালালাম পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এ চুক্তি বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের যে সমস্ত দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই সেখানেও প্রাণের পণ্যের মাধ্যমে দেশের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে প্রাণ গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে।
কোম্পানীর সিও (চীফ অপারেশন অফিসার) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, প্রাণ একটি ব্রান্ডের নাম নয়! এটি লাখো প্রবাসীর অনুভূতির জায়গা। এই অনুভূতিকে সম্মান করে প্রবাসে বাংলাদেশীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করে দেশের উৎপাদিত পণ্য বিদেশে বিক্রির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
‘প্রাণ’ ২০০৩ সাল থেকে আরব আমিরাতে ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু করে। বিগত ১৮ বছরে আমিরাতের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গত অর্থবছরে ৭৮০ মিলিয়ন দিরহামের ব্যবসা হয়। ‘প্রাণ’ আমিরাতে অন্যান্য দেশের নাগরিক ছাড়াও শুধুমাত্র ৪৩৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। করোনাকালীন সময়ে ২০০ বাংলাদেশিকে চাকুরি দিয়েছে প্রাণ। আমিরাতের প্রসিদ্ধ শপিং কেরিফোর, লুলু, নেস্টোসহ বড় বড় শপিংমলে প্রাণের প্রডাক্ট রয়েছে। ব্যবসার পাশাপাশি দেশকে উপস্থাপন করছে প্রাণ।
ডলার কোম্পানীর সাথে গাড়ি চুক্তির সময় আরো উপস্হিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্হাপনা পরিচালক হাসান মাহবুব, চীফ অপারেশন অফিসার সিওও আবু বকর ছিদ্দিক, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্পাদনা: এম আই, আই আস
Discussion about this post