টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মাদক বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর এক চোখ তুলে নিয়েছেন স্বামী ফারুক হোসাইন (২০)। রোববার (০৫ জুলাই) ভোরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মাইস্তা চৌধুরীবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আঁখি আক্তার ভ্যানচালক মজিবর মিয়ার মেয়ে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে স্বামীকে ফাঁসাতে চোখ উপড়ে ফেলার নাটক সাজিয়েছেন স্ত্রীর পরিবার- এমনটি দাবি করেছেন স্বামী ফারুক হোসাইন।
খোকন মিয়া আরও বলেন, এক বছর আগে ফারুকের বাড়ি থেকে আঁখি চলে এসে গাজীপুরে এক পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। সেখানেও তাকে ফোন করে চোখ উপড়ে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় ফারুক। গত রমজানে ফারুক গাজীপুর আঁখির বাসায় গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আখিকে আহত করে। ওই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় জিডি করা হয়। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে মোবাইলে আঁখিসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ফারুক। রোববার ভোরে সিঁধ কেটে আঁখির ঘরে প্রবেশ করে চোখ উপড়ে পালিয়ে যায় ফারুক। আঁখির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফারুককে খুঁজতে থাকেন। অনেক খোঁজখোঁজির পর ফারুককে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আঁখিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, স্বামীকে ফাঁসাতে স্ত্রী চোখ উপড়ে ফেলার নাটক সাজিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ফারুক হোসাইন। আমার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ফারুক হোসাইন মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত আছে বলে জানতে পেরেছি। মাদক বিক্রি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী আঁখির চোখ উপড়ে ফেলে স্বামী ফারুক পালিয়ে যায়। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাজনিত কারণে আহত নারীসহ পরিবারের লোকজন ঢাকায় থাকায় এখনও থানায় মামলা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা গ্রহণ করাসহ আসামিকে গ্রেফতার করা হবে।
Discussion about this post