গত ১৪ এপ্রিল ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে ২ মাসের মাথায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফেনীতে ৫ শ’ ছাড়িয়েছে। গত ১৫ দিনের আক্রান্ত হয়েছে ৩৩০ জন।
সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবে, এ পর্যন্ত ফেনীতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫১৫ জন। ১৪ এপ্রিল ছাগনাইয়ার মধুগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ৩১ মে পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করে। চলতি জুন মাসে শনাক্তের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। ৩১ মে পর্যন্ত দেড় মাসে যেখানে শনাক্তে সংখ্যা ছিল ১৭৫ জন। চলতি জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১৫ দিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩০ জন। ইতিমধ্যে ফেনীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সময় মতো লক ডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করায় দ্রুত করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। নমুনা সংগ্রহের ৭-৮ দিন পরে পাওয়া যায় শনাক্তের রিপোর্ট। এ কয়েক দিনেই আক্রান্তরা সমাজে রোগ বিস্তার করে ফেলেন।
ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনাবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ডা. সরফুদ্দিন বলেন, সব দেশেই প্রথমে খুব ধীর গতিতে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। তারপর ক্রমান্বয়ে বেড়ে গেছে। ফেনীতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তিনি বলেন, ফেনীতে এ পর্যন্ত এই রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১১৯ জন। ফেনীর সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেনসহ, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফেনীর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, গত ঈদে করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ফেনীতে আসে। ঈদের পর মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। স্থানীয় মার্কেট ও হাট-বাজার খোলা থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে গেছে করোনাভাইরাস। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলে এখনও সম্ভব করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা। মূলত মানুষই রোগ বিস্তার বন্ধ করতে পারেন।
Discussion about this post