চট্টগ্রামে প্রতিদিন করোনা উপসর্গের রোগী বাড়লেও নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রদানে অস্বাভাবিক বিলম্বের অভিযোগ বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) বিরুদ্ধে। নমুনা পরীক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে বিশেষায়িত এ হাসপাতাল।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা থেকে বিআইটিআইডি দিনে গড়ে আড়াই থেকে তিনশ’ রোগীর নুমনা সংগ্রহ করছে। অথচ দিনে রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে ১৩০ থেকে ৪০ জনের।
এ চাপ মোকাবেলায় আজ থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে এবং আগামী সপ্তাহ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন স্থাপিত করোনা ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। তখন পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এমএ হাসান নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্বের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন আড়াইশ’ থেকে তিনশ’জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কিন্তু হাসপাতালে মেশিনের ক্যাপাসিটির সীমাবদ্ধতার কারণে গড়ে প্রতিদিন ১৪০টি রিপোর্ট দেয়া যাচ্ছে। তবে চমেক হাসপাতাল ও সিভাসুতে পরীক্ষা শুরু হলে চাপ কমবে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল একদিনেই ১১ জনের করোনা ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় এক শিশুসহ তিনজন রোগী মারা গেছেন। আক্রান্ত দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। সোমবার বিআইটিআইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দু’জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
Discussion about this post