করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মসজিদে মুসুল্লি উপস্থিতিতেও সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ৫ জন এবং জুমার নামাযে ১০ জন মুসল্লি উপস্থিত হতে পারবেন। প্রশাসন এই নিয়ম কঠোরভাবে পালন করছে। মসজিদে উপস্থিত হতে না পারা মুমিনের জন্য বেদনার। চরম মনোকষ্ট সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নিয়েছেন সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
তবে মুসল্লিদের উপস্থিতির ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে দেখা গেলেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ক্যামেরা হাতে সাংবাদিকের উপস্থিতি ছিল চোঁখে পড়ার মতো। মুসল্লির সংখ্যা ১০ জন হলেও সাংবাদিক ছিলেন আরও বেশি সংখ্যায়। ২০ এরও অধিক। গায়ের সাথে গা মিলিয়ে তারা ছবি তুলছেন। নামাযের চিত্র ক্যামেরা বন্দি করছেন। খবরের কাগজে বা টিভির পর্দায় মুসল্লি বিহীন বায়তুল মোকাররমের চিত্র কে আগে প্রকাশ করতে পারে সে নিয়ে চলছে তাদের প্রতিযোগিতা।
সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে এ চিত্র। এ ঘটনা পীড়াদায়ক। দুপুরের ডিবিসি নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে জুমা আদায়ের জন্য বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত হতে চাওয়া কয়েক শত মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য যেখানে নেওয়া হলো এমন উদ্যোগ সেখানে মসজিদের ভিতরে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। ছবি তোলার জন্য ক্যামেরামেনের হুড়োহুড়ি। ঠেলাঠেলি।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ধর্মীয় সেনসেটিভ ইস্যুতে সংবাদ পরিবেশনে কতিপয় সাংবাদিকের এমন প্রতিযোগিতা আঘাত করেছে সরল ধর্মপ্রাণ মানুষদের।
অনেককেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর মনোভাব এবং চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। সঙ্কটময় মুহূর্তে মসজিদে উপস্থিত হতে না পেরে যেখানে মুসল্লিদের আক্ষেপ, সেখানে এক শ্রেণির সাংবাদিকদের এমন কাণ্ড ধর্মপ্রাণ মানুষকে চরম আঘাত দিয়েছে এবং আহত করেছে।
Discussion about this post