ভারতের দিল্লির একটি মসজিদের তাবলিগ জামাতে অংশ নেয়া ৬ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ তাদের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে কাশ্মীরের শ্রীনগরেও একজনের মৃত্যু হয়, যিনিও ওই জমায়েতে অংশ নেন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয় সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও অনেকে অংশ নিয়েছিলেন।
দিল্লির ওই তাবলিগ জামাতে অংশ নেয়া ৩ শতাধিক মানুষকে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারা এখন হাসাপতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপূঞ্জে ৯ ব্যক্তি তাদের মধ্যে একজনের স্ত্রীর দেহে করোনা ভাইরাসে উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
যিনি মসজিদটির তাবলিগ জামাতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তার নামে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবন্দি কেজরিওয়াল। পুলিশ বলছে, তারা ২৪ মার্চ থেকে আয়োজকদের মসজিদটি খালি করে দেয়ার জন্য বলে আসছিলেন কিন্তু দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় অনেকে তাতে আটকা পড়েন।
মহামারি করোনা ভাইরাস ভয়াবহ সংক্রামক হওয়ায় মসজিদের ওই জামাতের মাধ্যমে ভাইরাসটি ভারতজুড়ে ব্যাপক হারে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জমায়েতে অংশ নেয়া ১৭৫ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২ হাজার মানুষকে। দেশটিতে এই প্রথম এক স্থান থেকে এত মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে।
নিজামুদ্দিনের ওই জমায়েতের পরও সেখানে ছিলেন ১৪০০ মানুষ। ফলে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ‘সিল’ করে দেয়া হয়েছে গোটা এলাকা।
Discussion about this post