বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছে সংগঠনটির একাংশ। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতিতে সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের এই নেতারা তার বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকালীন মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।তবে এসব বিষয়ে গোবিন্দ চন্দ্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অনুমোদন ছাড়া সদস্যপদ প্রদান, পদায়ন এবং জেলা-উপজেলার কার্যকরী কমিটি ‘ভেঙে নতুন কমিটি দেয়ায়’ গোবিন্দ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অন্য নেতারা।ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি -এনআরসি, রাম মন্দির ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি করায় গোবিন্দ প্রামাণিক ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন’ বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
উত্তম কুমার দাস বলেন, এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন মাত্র ব্যক্তির একগুয়েমি, স্বেচ্ছাচারিতা, ব্যবসায়ী মনোভাব, ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক চিন্তার কারণে আজ পর্যন্ত এই সংগঠনটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াতে পারেনি। মাত্র একজন নেতার স্বেচ্ছাচারিতা, নৈতিক স্খলন ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে অন্য একজনকে লাগিয়ে দেয়া, অর্থ নিয়ে পদায়ন করা ইত্যাদি কারণে সংগঠনটি বারবার ভাঙনের মুখে পড়েছে।
‘এসবের পেছনে মাত্র একজন লোকই বরাবর দায়ী ছিল, এখনও আছেন। তিনি হলেন গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যিনি প্রতিষ্ঠাতাকালীন সময় থেকে এ বছরের ১৬ জানুয়ারি অবধি সংগঠনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকের ‘ব্যর্থ নেতৃত্বের’ কারণে ২০১৫-১৬ সময়কালে হিন্দু মহাজোটে ভাঙন দেখা দিলে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে বলে জানান উত্তম। তখন জয়ন্ত কুমার সেন সভাপতির পদ ছেড়ে যান।
Discussion about this post