মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছে এক থাই নারী। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজের কিউটিআর ৮৩০ ফ্লাইটটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৩৫২ জন যাত্রী নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের দিকে যাচ্ছিল।
এই ফ্লাইটে কাতার থেকে নিজ দেশে ফিরছিলেল ঔ থাই তরুনী ফ্রেমকাসিকর্ন ওয়াসানা। জানা গেছে, ভোর তিনটার দিকে ফ্লাইট যাত্রী গর্ভবর্তী নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এ সময় তার সহায়তায় দ্রুত এগিয়ে আসে কেবিন ক্রুরা। পরে কেবিন ক্রুদের সহায়তা তিনি নিরাপদে সন্তান প্রসব করেন। এমন অবস্থায় মা ও নবজাত শিশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার জন্য উড়োজাহাজটিকে জরুরী অবতরণে সিদ্ধান্ত নেয় কাতার এয়ারওয়েজের নিয়মিত ফ্লাইট কিউআর -৮৩০ এর পাইলট।
এ সময় উড়োজাহাজটি ছিল পশ্চিমবঙ্গের আকাশসীমায়। পাইলট জরুরী অবতরণের জন্য ‘মেডে’ (Mayday) পাঠায় কলকাতার নেতাজী সুভাস বসু বিমানবন্দরের (এনএসসিবিআই) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটাসি) -এর কছে। পাইলটের জরুরী বার্তা পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে উড়োাজাহাজটি জরুরী অবতরণের সকল ব্যবস্থা করে কলকতা । প্রস্তুত রাখা হয় চিকিৎসক ও এম্বুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ ও ব্যবস্থা।
ভোর ৩ টা ১০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করে। এরপর দ্রুত ইমিগ্রেশন ছাড়পত্র করে নবজাত শিশু ও তার মাকে সাড়ে চারটার মধ্যে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মা ও নবজাত সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। অন্যদিকে, ভোর ৫: ৫০ টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি কলকাতা থেকে ছেড়ে আবার ব্যাংককের দিকে উড়াল দেয়।
খবরটি সামাজিক যোগোহোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং বেশ কিছু লোক পোস্টটিতেও মন্তব্যও দিয়ে ফেলেছে। বেশিরভাগ মাকে অভিনন্দন জানালেও কেউ কেউ কেবিন ক্রুর প্রশংসা করেছেন। কয়েকজন নবজাতকের নামও প্রস্তাব করেছিলেন। “অভিনন্দন’, একজন টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য। আরেকজন লিখেছেন, তার নাম ‘ভারত’ রাখুন “। তৃতীয় একজন লিখেছিলেন, “বিশ্বের শিশুকে স্বাগতম।”
এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাজ আকাশে এমন একজন মায়ের প্রসবের গল্প মানুষের হৃদয়কে উষ্ণ করেছিল। একজন ফিলিপিনো যাত্রীর প্রসব বেদনার জন্য দোহা থেকে বৈরুতের লেবাননগামী একটি ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছিল। কেবিন ক্রুদের সহায়তায় তিনি একটি মেয়ে জন্ম দিয়েছিলেন।
Discussion about this post