৫ দিনে ৫ হাজার উটকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে খরা আক্রান্ত এলাকায় এই উটগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় খরাপ্রবণ এলাকায় ১০ হাজারের বেশি উটকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে সেখানকার প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে। স্থানীয় আদিবাসীদের অভিযোগ, বন্য উট বেশি পরিমাণে পানি পান করে। তাদের ফাঁপা পেট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সে কারণে হেলিকপ্টার থেকে পেশাদার শ্যুটার দিয়ে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৫ হাজার উটকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় আদিবাসী নেতারা জানান, বন্য এই উটগুলো তাদের অপর্যাপ্ত খাবার ও পানির জন্য হুমকি। এছাড়া তাদের আক্রমণে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়। ঝুঁকিতে থাকেন গাড়িচালকরাও। আনাংগু পিতজানজাটজাা ইয়াঙকুনিজাটজারা অঞ্চলে ২৩০০ আদিবাসী থাকে। এর ব্যবস্থাপক রিচার্ড কিং বলেন, ‘আমরা প্রাণী অধিকার কর্মীদের উদ্বেগের প্রশংসা করি। কিন্তু এখানে বাস্তবতা ভিন্ন। এখানকার নিরাপত্তা নিশ্চয়তাকারী হিসেবে আমাদের কঠোর অবস্থান নিতে হয়। শিশুসহ বাসিন্দাদের জীবনের কথা ভাবতে হয়।’
তিনি দাবি করেন, দুর্বল উটগুলো প্রায়ই পানির উৎসে গিয়ে মারা যায়, এতে পানি দূষিত হয়ে পড়ে এবং পানের অযোগ্য হয়ে যায়। এপিওয়াই কর্মকর্তারা জানান, তারা অভিযানে ৫ হাজারেরও বেশি উটকে হত্যা করেছে।
ন্যাশনাল ফেরাল কেমেল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান দাবি করেছে, কোনও ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রতি ৯ বছরে উটের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। কার্বন ফার্মিং স্পেশালিস্টস রেজেনকো’র প্রধান নির্বাহী টিম মুর বলেছেন, এক বছরে ১০ হাজার বন্য উট এক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নিঃসরণ করে, যা রাস্তায় ৪ লাখ গাড়ির গ্যাস নিঃসরণের সমান।
Discussion about this post