অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আনানজু পিতজানৎজাতজারা ইয়ানকুনিৎজাতজারা ল্যান্ডস (এওয়াইপি) খুবই খরাপ্রবণ এলাকা। যে কারণে এ অঞ্চলে পানির খুব সংকট রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, এখানকার বন্য উটগুলো খুব বেশি করে পানি খেয়ে নিচ্ছে। পানির খোঁজে তাদের বিচরণের কারণে সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া মিথেন গ্যাস সৃষ্টির জন্যও দায়ী করা হচ্ছে এসব উটকে ।
এজন্য বিশ্ব উষ্ণায়নের অজুহাতে এই অঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার উট হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া , হেলিকপ্টার থেকে বন্য এ উটগুলোকে গুলি করে মারা হবে বলে জানা যায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছে তুরস্ক।
বুধবার ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম গাজা আল-আনের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানোনো হয়েছে। তুরস্কের সরকারি মানবিক সহযোগিতা সংস্থা (আইএইচএইচ)এর সহকারী পরিচালক সিরকান নার্গিস ১০ হাজার উট হত্যার পরিবর্তে সেগুলোকে ইসলামি রীতি অনুযায়ী জবাই করে বিশ্বের দরিদ্র ও প্রয়োজনগ্রস্ত মানুষদের মাঝে বিতরণের আহবান জানিয়েছেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া যেন তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে এ জন্য তুরস্ক যাথাসম্ভব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি ।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় সৃষ্ট ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত অন্তত দু’শো ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর উত্তাপে দগ্ধ হয়ে কমপক্ষে সাতজন নাগরিকের মুত্যুর কথা জানিয়েছে বিবিসি।তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একেপির একজন মুখপাত্র অস্ট্রেলিয়ার এই পরিস্থিতিতে সমবেদনার কথা উল্লেখ করেছেন ।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভয়াবহ দাবানল । এখন পর্যন্ত আগুনের তীব্রতা কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। আগ্নেয়গিরীর উত্তাপে স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি ও সরীসৃপসহ বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
Discussion about this post