গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে সারাদেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ১৪১৩ নারী। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন।
মঙ্গলবার আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৯ : আসকের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ২০১৭ সালে দেশে ৮১৮টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও ২০১৮ সালে তা কিছুটা কমে ৭৩২ এ নেমে আসে। কিন্তু চলতি বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
এছাড়াও ২০১৯ সালে বেড়েছে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫৮ নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার হন ৪৪ জন পুরুষ। এছাড়াও ২০১৯ সালে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৮ জন নারী। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে খুন হয়েছেন ১৭ জন নারী ও পুরুষ। ২০১৮ সালের আসকের তথ্য মতে, সে বছর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন মোট ১৭০ জন। এছাড়াও সালিশের নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন চার (৪) জন নারী। এছাড়াও যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৬৭ নারী। যার মধ্যে নির্যাতনের কারণে মারা যান ৯৬ জন এবং আত্মহত্যা করেন ৩ জন। অন্যদিকে এ বছর পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৪২৩ নারী। এছাড়াও ২০১৯ সালে ৩৪ নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পরবর্তী সময়ে মারা যান ১ নারী। অন্যদিকে এ বছরে অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১৯ নারী।
Discussion about this post