দুবাই প্রতিনিধিঃ গতকাল ১৫ নভেম্বর শুক্রবার পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতস্থ শাখা সমূহের উদ্যোগে দুবাইস্থ আল মারাবিয়া স্ট্রিট, ডাসকু ক্লাব ময়দানে বিশাল এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহফিলে কাগোতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেবের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সাংগঠনিক তদারক পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ ছাইফুদ্দীন। লিখিত বক্তব্যে আওলাদে রাসুল হযরতুলহাজ্ব শাহ্ছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী বলেন, আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর হাবীব (দঃ) কে র্সবশ্রেষ্ঠ উজজ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রেরণ করেছেন সৃষ্টির কল্যাণে, হুজুর পাক (দঃ) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত সরুপ, যাঁর আগমন না হলে কূল কায়েনাত সৃষ্টি হতো না। কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর তাঁর হায়াতে জিন্দেগীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) মাহফিল উদযাপন করে এসেছেন। তিনি জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে হায়াতুন্নবী (দঃ) এর ছুন্নাত এবং আদর্শের বাস্তবায়ন করেছেন এবং অন্যান্য মুসলমানদেরকেও বাস্তবায়নের জন্য সদা সর্বদা উৎসাহিত করেছেন। হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার প্রতিটি নিশ্বাস হুজুর পাক (দঃ) এর সন্তুষ্টির মধ্যে অতিবাহিত করেছেন।
তিনি তরিক্বতপন্থীদের নিয়মিত এগারশত এগারবার হায়াতুন নবী (দঃ) এর উপর দরূদ পাঠের শিক্ষা দিয়ে লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল সৃষ্টি করেছেন এবং মোরাকাবা শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে ইনসানে কামেল হওয়ার সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
এছাড়াও আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) কে স্বীকৃতি দিয়ে রাসূলে পাক (দঃ) এর চারিত্রিক মাদুর্যতা মানবজীবনে প্রতিফলিত করার যে ব্যবস্থাপনা করেছেন সেজন্য আমিরাত সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান মহান মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
বিশিষ্ঠ প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আলহাজ্ব মৌলানা মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সংযুক্ত আরব আমিরাত ওলামা পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিটির ৬০ নং শারজাহ শাখার সচিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহাবুবুল আলম বোগদাদী, মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেকে।
উপস্থিত বক্তারা বলেন সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) সরা্সরি প্রিয় নবী (দঃ) এর সিনা মোবারক থেকে নূর গ্রহণ করে ছিদ্দিকে আকবর, ফারুকে আজম, জিননূরাইন ইত্যাদি সম্মানজনক আসনে অলংকিত হয়েছেন। আর কিয়ামত পর্যন্ত উম্মতের জন্য তিনি রেখে গেছেন এ নূরে বাতেন ও তার যোগ্য উত্তরসূরী, যাঁদের সিনা থেকে এ নূরে বাতেন আহরণ করা যায়। ১৪০০ বছর পরে আমরা এমন একজন যোগ্য নায়েবে রাসূল (দঃ) পেয়েছি যিনি প্রিয় নবী (দঃ) এর নূরে বাতেন আপন সিনা থেকে আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে বিতরণ করেছেন।
এছাড়াও বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের মারাত্মক আগ্রাসন থেকে মুসলিম যুবক-যুবতিদের চরিত্র, ঈমান ও আক্বিদা রক্ষা করতে হযরত গাউছুল আজমের গাউছিয়্যতের প্রযুক্তি গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী। তারা সকলকে গাউছুল আজমের এ কালজয়ী র্দশন নিয়ে গবেষণা করার জন্য বিশেষ আহবান জানান।
মাহফিলে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ ভারত, পাকিস্তান, স্থানীয় আরবী ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানের উপস্থিতিতে মাহফিল প্রাঙ্গন কানায় কানায় র্পূণ হয়ে যায়। প্রতি বছর ধর্মীয় এই বৃহৎ জমায়েতের মাধ্যমে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত আমিরাতের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমিটির দুবাই শাখার উপদেষ্টা আলহাজ্ব হারুন এম.আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মুহাম্মদ এমদাদ সহ আমিরাতের বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা।
মাহফিল শেষে দেশ, জাতি,বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ, পরকালীন মুক্তি এবং কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
Discussion about this post