চলতি বছরের ৮ মাসেই দেশে ফিরেছে আড়াই হাজারের বেশি প্রবাসীর মরদেহ। তাদের মাত্র ৪ শতাংশের স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও এর কারণ অনুসন্ধানে নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। এমন কি ময়নাতদন্ত পর্যন্ত হয় না তাদের। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২০০৫ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৩৯ হাজার ৯৮ জন প্রবাসীর মরদেহ দেশে ফিরেছে।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য মতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২ হাজার ৬ শর বেশি মরদেহ ফিরেছে। তাদের ৬০ ভাগের বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে প্রবাসীদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্যোগ নেই সরকারের।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব রনৌক জাহান বলেন, এখনো এই বিষয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করেনি। যদি কেউ মনে করে এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন আছে তাহলে অবশ্যই নেয়া হবে। কেউ যদি অস্বাভাবিকভাবে মারা যায়, তাহলেই ময়নাতদন্ত করার নিয়ম, তাছাড়া করার কোন এখতিয়ার নেই। কি কারণে মৃত্যুর হার বাড়ছে আর এখন থেকে এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা হবে বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় কমানো কিংবা কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে এজেন্সিগুলোর উদাসীনতা কিংবা সরকারি নজরদারি না থাকাও প্রবাসে মৃত্যুর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সরকারি ও বেসরকারি অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাক অভিবাসন প্রোগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক শরিফুল হাসান বলেন, কেন আমাদের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ব্রেন স্টোক ও হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাবে, এটা আমাদের ভাবা উচিত। এদের বেশিরভাগ বয়সই কিন্তু ৩০ এর নিচে। এই বয়সে এসব রোগে মারা যাওয়াটা স্বাভাবিক মনে হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ময়নাতদন্ত করা উচিত। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে, আসলেই তারা কি আত্মহত্যা করছে নাকি তাদের আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা করা হয়েছে।
এদিকে, জনশক্তি রপ্তানির হার কমছে। ২০১৭ সালে ১০ লাখ জনশক্তি রপ্তানির রেকর্ড হলেও ২০১৮ সালে গেছেন ৭ লাখের বেশি কর্মি, আর চলতি বছরের ৮ মাসে গিয়েছেন মাত্র ৩ লাখ ৮৪ হাজার।
DBC 24
Discussion about this post