নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবিনা ইয়াসমিন রিমি নামের এক নারীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে চর কাঁকড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজি সফি উল্যাহর বিরুদ্ধে ।
নির্যাতনের শিকার রিমি অভিযোগ করেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী এবং তার মাকে পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রাখা হয় প্রায় ৪ ঘণ্টা। গত আগস্ট মাসে জন্ম নিবন্ধনের কার্ড করতে চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে বোর্ড অফিসের তথ্য সেবা কর্মকর্তা রিয়াদ তার ওপর হামলা চালায়। এ হামলার বিচারের দাবি করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। রোববার সকালে ওই অভিযোগ পত্রে হামলার সত্যতার পক্ষে স্বাক্ষর নিতে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার স্বামী রিয়াদের পক্ষ নিয়ে প্রথমে তাকে এবং তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে, পরে মোটা একটি লাঠি দিয়ে তার চোখে আঘাত করে। এরপর চৌকিদার আবদুর রবসহ অজ্ঞাত এক যুবককে তার ওপর লেলিয়ে দেয়। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চৌকিদার আবদুর রব ও অজ্ঞাত এক যুবক ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে।
নির্যাতনের শিকার সাবিনা ইয়াসমিন রিমা আরও জানান, তার স্বামী রিয়াদ হোসেন চর কাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাকরি করে। পরিবারের অমতে রিয়াদের সঙ্গে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার বিয়ে হয়। পরে রিয়াদ তাকে তার বাড়িতে তুলে নিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন তিনি। ওই মামলা এখনও চলমান। পূর্ব শক্রতার জের ধরে তথ্য সেবা কর্মকর্তার পক্ষ নিয়ে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে এ নির্যাতন চালিয়েছে।
Discussion about this post