দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ঘটনা ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।সংবাদ সম্মেলনে রিফাত বলেন, সারা দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি বেড়েছে। আমরা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমরা এগুলো রুখে দিবো।কিন্তু এ কমিটিগুলোতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রভাবে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি লিপ্ত হয়েছে।
কমিটিগুলো যখন গঠন করা হয়েছিল, সে কমিটি গঠনে দায়িত্বে যারা ছিল তারা যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের ভিতরে চলে গেছে। তাদের সেল্টার পেয়ে জুলাইযোদ্ধারা বিপথগামী হয়েছে। এ মুহূর্তে তাদের কন্ট্রোল করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাই, অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সকল কমিটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে আমরা সংগঠনটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্দেশ্য আবার বসবো এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। জুলাইয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কাজ আমরা করবো না, করতে চাইও না।চলমান চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনের দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, চলমান চাঁদাবাজির ঘটনায় আমরা দায় স্বীকার করেছি।
আমরা জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সকল ধরনের কাজ করে যাবো। সামনের দিনগুলোতে আমাদের কর্মকাণ্ডে আপনারা তা দেখতে পাবেন।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে আমাদের ব্যানার ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করার চেষ্টা করবে, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিন। আমরা আমাদের দিক থেকে সব ধরনের সাহায্য করবো। আমাদের ব্যানার দিয়ে কারো অপকর্ম করার সুযোগ নেই।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম বলেন, বৈষম্যবিরেধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সারা দেশে নানা অপকর্ম, চাদাবাজি, দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে। আমরা এসব বরদাস্ত করবো না। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করে এ সংগঠনটি চালিয়েছি।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ এবং সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজন আটক হন। যারা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা বলে দাবি করেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কমিটি স্থগিতের মতো বড় সিদ্ধান্ত জানালো দলটি।
Discussion about this post