গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিয়ে আইডিএফ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে পুরোদমে আক্রমণ পুনরায় শুরু করে। এরপর ইয়েমেনের হুথিরা ইসরায়েলে ১৮টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুটি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। মাত্র ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে কেবল সাইরেন বাজাতে সক্ষম হয়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করে। আর অন্যগুলো উৎক্ষেপণের পরই ব্যর্থ হয়ে ভূপাতিত হয়। সেসবের জন্য আইডিএফকে মাথাও ঘামাতে হয়নি।
এদিকে ইয়েমেনের হুথিরা বুধবার ইসরায়েলে একটি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে। কিন্তু এতেও ইসরায়েলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এমনকি এ হামলা মোকাবিলায় আইডিএফ কোনো সাইরেন বাজায়নি।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের কাছে বড় হুমকির একটি হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কারণ, সৌদি মনে করে হুতিদের উত্থানে তাদের নিরাপত্তা স্বার্থ সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে।
হুথি গোষ্ঠীর মূল সমর্থক দেশ ইরান। ২০১৪ সালে হুতিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবদরাব্বু মনসুর হাদি দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়। তখন থেকেই ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের উত্তাপ বাড়ে। ২০১৫ সালে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ফলে দেশটি বিপুল মানবিক সংকটের মধ্যে পড়ে।
Discussion about this post