বরিশালের গৌরনদীতে রাতের আঁধারে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার সময় জনতার হাতে আটক উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সভাপতি আকবর হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘটনার খবর পেয়ে জেলা কমিটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সাথে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপর জরুরি দায়িত্বশীল মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
যদিও শুক্রবার রাতে গৌরনদী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আল আমিন বলেছিলেন, মাইনুল ইসলাম পলাশকে আগেই শিবির থেকে বাতিল করা হয়েছে। তার সঙ্গে শিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
ছাত্রশিবিরের বরিশাল জেলা সভাপতি আকবর হোসেন বলেন, ২৫ সেশনে দায়িত্ব পেয়েছিল মাইনুল ইসলাম পলাশ। বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরপরই তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত ভোর রাতে বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম পলাশকে মসজিদ সংলগ্ন পাশের বাড়ির এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রবাসীর স্ত্রীসহ মাইনুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটককৃত মাইনুল উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামের শাহ আলম ফকিরের ছেলে।
গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ওই দুইজনকে জনরোষ থেকে রক্ষা করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠায়।
Discussion about this post