তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। হয়তো বড় নয়, তবে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে যাবার শঙ্কা থেকে ২২৮ রান নিশ্চয়ই মন্দ নয়।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। দুবাইয়ে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হয়েছে তারা। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ।
মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যস্ত, সমর্থকদের মনে উদ্বেগ; তখন হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি। তাদের ২০৬ বলের জুটিতে যোগ হয় ১৫৪ রান। যা ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ উইকেটে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ রান।
এইদিন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিছু বুঝে উঠার আগেই নেই ২ উইকেট। প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপার রাহুলকে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৫ বলে ০ রান করে মোহাম্মদ শামির শিকার তিনি।
এরপর হর্ষিত রানার করা দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট দিয়ে আসেন। শর্ট কাভারে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২ বলে ০ রান করে। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম ও মেহেদী মিরাজ মিলে। তবে তাদের জুটি বড় হয়নি। থিতু হবার আগেই ফেরেন মেহেদী মিরাজ। ১০ বলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। ২৬ রানে হয় তৃতীয় উইকেটের পতন।
এরপর আর মাত্র ৯ রান যোগ করতেই ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে যায় বাংলাদেশের। ভেঙে দেন অক্ষর প্যাটেল। ৮.২ ওভারে প্রথমে তামিমকে ফেরান। থিতু হয়ে যাওয়া এই ওপেনার ফেরেন ২৫ বলে ২৫ করে।
পরের বলেই অক্ষরের শিকার মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে উপহার দেন গোল্ডেন ডাক। মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সর্বনিম্ন পুঁজিতে গুটিয়ে যাবার শঙ্কা দেখা দেয়।
ভারতীয় বোলারদের তোপে যখন ধুঁকতে থাকে টাইগাররা, তখন দলকে উদ্ধার করছেন হৃদয় ও জাকের মিলে। দেখেশুনে ধীরে-সুস্থেই খেলতে থাকেন তারা। গড়ে তুলেন প্রতিরোধ।
এর মাঝে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম ফিফটি তুলে নেন জাকের আলি। ৮৭ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। পরের ওভারেই ফিফটি পূরণ করেন হৃদয়। তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছান ৮৫ বলে।
এরপর অবশ্য ইনিংস আর বেশিদূর টানতে পারেনি জাকের। শামির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১৪ বলে ৬৮ করে। আটে নেমে রিশাদ ১২ বলে ১৮ রান করেন। কিন্তু বাকি আর কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি হৃদয়কে।
তবে এর মাঝেই দারুণ একটা শতক তুলে নেন হৃদয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেও যা তার প্রথম শতক। ৪৯.৪ ওভারে ১১৮ বলে ১০০ রানে আউট হন তিনি। তাতে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫, হর্ষিত রানা ৩ ও অক্ষর প্যাটেল নেন ২ উইকেট।
Discussion about this post