সোমবার দুপুর ১টার দিকে রংপুর জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু-সংলগ্ন চর পয়েন্টে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুখে স্লোগান শোনা যায়, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’, ‘তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই’।
তিস্তা রেলসেতু চর পয়েন্টে এলাকায় দেখা যায় অসংখ্য মাইক লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠনের কর্মীরা তাঁবু বসিয়েছে। নারী পুরুষ, শিশু যুবক, বৃদ্ধ নানা বয়সের মানুষের সমাগম দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, নৌকা করে, বাস, নানা ধরনের যানবাহন নিয়ে মানুষ আসছে এই তিস্তা বাঁচাও কর্মসূচিতে যোগ দিতে। জনসাধারণ এসে মিছিল করছে।
সোমবার একসাথে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি দুপুর ২টায় উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে দুপুর ১টার দিকে এসেছেন।
সমাবেশে আসা তিস্তাপাড়ের জেলে এনামুল হক জানান, বাপ-দাদারা তিস্তা নদীতে সারাবছর মাছ ধরত। তিস্তা নদীর সুটকি সারাদেশে চলে যেত। এখন বর্ষার দু’-তিন মাস মাছ ধরতে পারলেও বাকি সময় পরিবারের খাবার যোগানো কষ্ট হয়ে পড়ে। পানি না থাকায় অনেক জেলে তাদের পেশার পরিবর্তন করেছেন। আগের মতো নেই তিস্তা নদীতে মাঝি মাল্লাদের ডাক হাক।
তিনিও দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সমাবেশে যোগ দিতে আসা রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তাপারের বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি প্রকল্প ছিল। বিগত সরকার গড়িমসি করে তা বাস্তবায়ন করেনি। বর্ষার সময় ভারত পানি দিয়ে আমাদের ডুবিয়ে দেয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা তিস্তার পানির সমান অধিকার চাই।
Discussion about this post