বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান বলেছেন, বিচার বহিভূর্ত সকল গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হতে হবে, ইনশাআল্লাহ। পালিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমরা আর চাই না গোলাম রব্বানীর মতো কেউ মৃত্যু বরণ করুক।
৩০ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছরী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে রামগঞ্জ ট্র্যাজিডির শিকার বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নবনির্মিত বাড়ীর চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন
আমরা বিএনপি পরিবার আহ্বায়ক আতিকুল রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তারেক রহমান আরো বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে তার দোষররা এখন দেশের আনাচে-কানাচে রয়ে গেছে। তারা দেশের ভিতরে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, বেকার সমস্যা ও কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিভিন্ন দলের ভিতরে মতপাথক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও সামনে এখন বড় যুদ্ধ। যে অধিকার আদায়ে রব্বানীদের মতো হাজার হাজার রব্বানী জীবন দিয়েছেন, তাদের সেই অধিকার আদায়ে সকলকে এক হয়ে কাজ করা আহ্বান জানান তারেক রহমান। সমাবেশে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার ১২ শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছয় লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নতুন বাড়ীর চাবি তুলে দেয়া হয়। এসময় গোলাম রব্বানীর কন্যা সুমি পিতা হত্যার বিচার চেয়ে কান্নাজড়িত বক্তব্য হাজার হাজার মানুষকে আবেগআপ্লুত করে তোলে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভোরে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ঠুনঠুনিয়া গ্রামে মামা আলী হোসেন ও মিয়া হোসেনের বাড়ি থেকে রব্বানীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। এর কিছুদিন পর ১৮ জানুয়ারী সকাল ৭টায় নীলফামারীর পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে আরাজি গ্রামের একটি বাশঁঝাড় থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গোলাম রব্বানী নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
Discussion about this post