চলতি বছরও হজযাত্রীদের জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রত্যেক হজযাত্রীকে হজের আবেদনের অন্তত ১০ দিন আগে করোনা টিকার ডোজ নিতে হবে এবং আবেদনপত্রের সঙ্গে টিকা সনদের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে।
২০২৩ সালের হজযাত্রীদের জন্য করোনা টিকার সনদ বাধ্যতামূলক হবে কিনা— ইমেইলের মাধ্যমে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করেছিল আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। জবাবে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
মন্ত্রণালয়ের টুইটবার্তায় বলা হয়েছে, আবেদনপত্রের সঙ্গে টিকা সনদের অনুলিপি যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। কোনো আবেদনকারী যদি তা না করেন— তাহলে তাকে হজের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
চাঁদের সাপেক্ষে চলতি বছর ২৭ বা ২৮ জুন শুরু হবে হজ। আর এ বছর হজের জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আগামী ৫ মে বা আরবি শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু করবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের একটির নাম হজ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক।
প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হজ করতে সৌদি আরবে যান। তবে করোনা মহামারির প্রথম বছর— ২০২০ সীমান্ত ও অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ থাকার কারণে হজে নিষেধাজ্ঞা দেয় সৌদি। সরকারের বিশেষ অনুমতি নিয়ে ওই বছর সৌদির অতি অল্প সংখ্যক মানুষ হজ করতে পেরেছিলেন।
পরের বছর ২০২১ সালে কেবলমাত্র নিজ দেশের নাগরিকদের হজ করার অনুমতি দেয় সৌদির সরকার। তবে সেই অনুমোদনে বলা হয়েছিল— যেসব নাগরিক করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন— কেবল তারাই হজ করতে পারবেন।
তারপর ২০২২ সালে সীমান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে বিদেশী মুসল্লিদেরও হজের জন্য সৌদিতে আসার অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। তবে ওই বছরও টিকার বাধ্যবাধকতা জারি ছিল।
Discussion about this post