রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্ট করে দিত চক্রটি। এ জন্য তারা জনপ্রতি ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিত। চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
জন্মনিবন্ধন জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—মো. আরিফ, জসিম উদ্দিন ও মো. তারেক। আজ বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালিসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফি উল্লাহ নিজ কার্যালয়ে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জেলার চন্দনাইশের দোহাজারীর ভুয়া ঠিকানা দেওয়া এক নারীর পাসপোর্ট ভেরিফিশনের জন্য নিজের বোন পরিচয় দিয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় আসেন আরিফ। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন ওই নারী রোহিঙ্গা। চন্দনাইশের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ওই নারীর জন্মনিবন্ধন সনদ নেয় চক্রটি। চক্রের সদস্যরা সার্ভার হ্যাক করে কিংবা পাসওয়ার্ড দিয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নেয়। একেকটি জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য নেয় ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। চক্রটি রোহিঙ্গাদের জন্য এ পর্যন্ত অসংখ্য জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও পাসপোর্ট করেছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংখ্যা বলতে পারেননি।
গত ৮ থেকে ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ডের আইডি ব্যবহার করে সার্ভারে ঢুকে ৫৪৭টি জন্মনিবন্ধন সনদ ইস্যু করা হয়। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ডে ১৩৩টি জন্মসনদ অবৈধভাবে ইস্যু হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতির ঘটনায় এ পর্যন্ত হওয়া ছয়টি মামলা তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বরখাস্ত এক অফিস সহায়কসহ (পিয়ন) সাতজনকে।
PROTHOM ALO
Discussion about this post