গত শতাব্দীর ধ্বংসের পর্যায়গুলো

আবদুল মুনঈম ইসমাইল

পশ্চিমাকরণ মানুষের মনে এতটাই প্রবেশ করেছে যে কিছু লোক মনে করে,পশ্চিমকে অনুকরণ করাই উন্নতির একটি উপায়।

– সামাজিক বিভক্তকরণ এবং বহুবিবাহ বা স্বামী বা স্ত্রীর প্রতিটি পক্ষের অধিকারের এলোমেলো সিদ্ধান্তের সংস্কৃতি দ্বারা মুসলিম পারিবারিক আইনকে কলুষিত করা হয়েছে।

– জাতি থেকে দল, ও দলে আনুগত্য স্থানান্তরিত করে ইসলামী জাতিকে বামন করা যতক্ষণ না জাতির একদিকে একজন শাসক থাকে এবং তার বিকল্প থাকে গোপন অঙ্গীকার এবং বিশেষ আনুগত্য।

– শাসকদের ভুলের সাথে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করার ফলে জাতির মধ্যে আন্তঃসংঘাতের আমন্ত্রণ ঘটে এবং আন্তঃসংঘাতের পর্যায়গুলি ছাড়া পুণ্য শতাব্দীতে ঘটেনি, তাই গণভিত্তি, যা সমগ্র জাতি। ইসলামের উপর বাস করা, সঠিকভাবে পরিচালিত খিলাফত থেকে উমাইয়া বাদশাহের কাছে বিরোধিতা ছাড়াই বা সমস্যা সৃষ্টি করতে চাওয়া সৎ-নির্দেশিত খিলাফতের সুবিধার জন্য নতুন বাস্তবতা, যা সময়ের খুব কাছাকাছি ছিল এবং এই যুক্তিযুক্ত সমগ্র জাতির উপলব্ধি জনসাধারণের দাতব্য শিল্পে অবদান রেখেছিল, তা খিলাফত বা উমাইয়া রাজার মধ্যেই হোক না কেন, আল্লাহ মুয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ান এবং সমস্ত সাহাবী ও অনুসারীদের প্রতি সন্তুষ্ট হন।

উমাইয়া শাসনের সূচনা হওয়ার দিনই কেন সমগ্র জাতি প্রাচীর ও ইসলামী জাতির সত্তায় ফাটল সৃষ্টির চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল না?

আল-হাসান বিন আলী, ঈশ্বর তাঁর এবং তাঁর পিতার প্রতি সন্তুষ্ট হোন, এবং তাঁর পিতামহের উপর ঈশ্বরের প্রার্থনা ও শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহ তাঁকে আশীর্বাদ করুন এবং তাঁকে শান্তি দান করুন, মুয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ানের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছিলেন, আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হন। , এবং সঠিকভাবে পরিচালিত খিলাফত থেকে উমাইয়া রাজায় উত্তরণের জন্য তার মহান প্রজ্ঞার সাথে অবদান রাখুন।

না, না, না, কেন?

কারণ প্রথম প্রজন্মের সচেতনতা, শিক্ষা এবং প্রশংসা জনসাধারণের নিরপেক্ষকরণে অবদান রাখে এবং মুসলিম শাসকদের সাথে মতানৈক্যে তাদের সময় নষ্ট না করে, কারণ তারা বুঝতে পারে ইসলামী জাতির সাধারণ ভাগ্যের প্রকৃতি, যা পাঁচটি স্তর।
ভবিষ্যদ্বাণী, সৎ-নির্দেশিত খিলাফত, আল-আদুদ বাদশাহ, জাবরী বাদশাহ এবং খিলাফত তার মালিকের উপর ভবিষ্যদ্বাণীর পদ্ধতিতে, তার মালিকের উপর বরকত ও শান্তি বর্ষিত হোক।

যে অস্বাভাবিক ফতোয়াগুলো শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলন করতে সাহায্য করেছিল তার ফলে এক শতাব্দীরও বেশি প্রজন্মের গণহত্যার ঘটনা ঘটে, বিশেষ করে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের পর। সংঘর্ষের পর ইসলামি বিশ্বের দেশগুলো জ্বলে ওঠে এবং আরব ও ইসলামি জাতির ভোক্তা ধূর্ততা, যার ফলে জাতি মন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত পক্ষপাতী সত্ত্বা বা বিপথগামী গোষ্ঠীগুলিকে চালিত করার ক্ষেত্র।
..
খোমেনিবাদের প্রশংসা করা, শয়তানকে ইমাম খোমেনী হিসাবে বর্ণনা করা এবং সেই যুগের হামানকে সুপারিশ করা, কাসেম সোলেইমানি, লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করার পরে, একটি টেকসই বিপর্যয় হিসাবে বিবেচিত হয়।

শুধুমাত্র স্বাধীনতা ও উদার মনের শব্দভাণ্ডারকে হেরফের করার জন্য এবং লঙ্ঘনকারী এবং তরুণদের আরোহনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সকলের জন্য মারাত্মক ঝড়ের অনুমান যে আবেগগুলিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ডেমাগোগদের মনকে বিভ্রান্ত ও শোষণ করার চেষ্টা করা। বড় বড় পদের বিভ্রমের পাহাড়ের উপর দিয়ে যে পথটি কেবল শব্দের শক্তির জন্য প্রশংসা, অপবাদ এবং লঙ্ঘনকারী এবং শাসকের বিকৃতি, এবং তারপর দ্বন্দ্ব এবং ব্যর্থতার উপাদানের ক্ষতি।

একই সাথে অতিরঞ্জন, প্রায়শ্চিত্ত এবং তরলীকরণের শিল্প, তাই যেখানে প্রথমটি বিস্তৃত হয় সেখানেই অন্যটি বিস্তৃত হয়।প্রায়শ্চিত্ত শিল্পের লক্ষ্যগুলির একটিকে পাতলা এবং পাতলা করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা হয় এবং মধ্যপন্থা উভয়ের মধ্যে একটি যুক্তিসঙ্গত ধর্ম।

আরব ও ইসলামিক যুবকদেরকে ইসলামী ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর অভিজ্ঞতার ময়দানে পরিণত করা, যেন সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও সংস্থার অনুমোদনের জন্য মৃত্যুই জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম কারণ। মৃতদের জন্য তা যথেষ্ট। মানুষ যোগাযোগের মাধ্যমে কাকের প্রশংসা করে যে সে শহীদ এবং বীর, এবং তার প্রতিপক্ষ অত্যাচারী বা অজ্ঞ, এমনকি যদি সে সমসাময়িক সবচেয়ে জ্ঞানী পণ্ডিতদের একজন হয়, তবে এটি দলীয় প্রথায় যে সে কম্পাস পরিবর্তনের সময় পার্টির সাথে ডানদিকে বা পার্টির সাথে বামে এগিয়ে যাবেন না।