চট্টগ্রাম হাটহাজারী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৩০০ বছরের পুরোনো কবরস্থান জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুল ইসলামের পরিবারিক কবরস্থানটি উপজেলার গুমানমর্দ্দন সাকিনের কাটাখালী কুল খুইন্যা ইব্রাহিম দিঘীরপাড়ে অবস্থিত। একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মো: আলী পেয়ারু বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কবরস্থানের পাকা নামফলক ভেঙে কাঁটা তারের ঘেরা দিয়ে জবর দখল করার অভিযোগ এনেছে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুল ইসলামের ছোটভাই বাদী হয়ে মহীউদ্দিন চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীদুল আলম ও হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রুহুল আমিন বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় কাটাখালীকুল খুইন্যা ইব্রাহিম দিঘীরপাড়ের ওই কবরস্থানটি ৩’শ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা গাজী নুরুল ইসলামের পরিবারিক কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। যেটি তাদের মৌরশী পূর্ব পুরুষের মালিকানাধীন জায়গা। যেখানে গাজী পরিবারের মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের নামের তালিকাসহ পাকা নামফলক স্থাপন করা আছে। মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল পাকাকরণের নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করলে মো: আলী পেয়ারু মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থল পাকাকরণে বাধা সৃষ্টি করে। সে সময় কবরস্থানের মালিকানা দাবি করে জবর দখলের চেষ্টা করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর বহিরাগত সন্ত্রাসী ও দলবল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সমাধিস্থলে সদস্যদের নামফলক ভেঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জবর দখল করে।
ঘটনার পর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওই কবরস্থানে গেলে পেয়ারু গাজী নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।
গাজী নুরুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের পরিবারিক কবরস্থান। যেখানে ৩শ বছর ধরে আমাদের পরিবারের সদস্যদের সমাহিত করা হয়। পূর্বপুরুষদের কবরস্থ করা হয়েছে সেখানে। পিয়ারু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষের মালিকানাধীন এই কবরস্থান জবর দখল করে নিয়েছে। পুনরায় আমরা সেটি ব্যবহার করতে চাইলে সে প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করে। এই অবস্থায় আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।
গাজী নুরুল ইসলামের ছোটভাই মহীউদ্দিন চৌধুরী বলেন, পেয়ারু বহুদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসে। ক্ষমতার দাফটে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সে আমাদের পরিবারিক কবরস্থান জবর দখল করে নিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানটির দখল মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পূর্বপুরুষের নিশানা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
Discussion about this post