অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অবসান হলো বাঙালি জাতির দীর্ঘ অপেক্ষার। দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার পর পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। উৎসব শুরু হয়ে যায় পদ্মার দুই পাড়ে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে যোগ দেন তিনি। পদ্মা সেতুর ‘থিম সং’-এর মাধ্যমে সুধীসমাবেশ শুরু হয়। এরপর বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রদর্শন করা হয় প্রামাণ্যচিত্র।
এরপর বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সুধী সমাবেশে বক্তব্য শেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধন-খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে টোলপ্লাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। সেখানে টোল দিয়ে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনে অংশ নেন। এরপর মাওয়া প্রান্তে ফিতা কেটে বহুল আকাক্সিক্ষত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে সেখান থেকে সড়ক পথে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ম্যুরাল চত্বর হতে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বহুল কাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু পার হয়ে তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-২ উন্মোচন এবং মোনাজাতে অংশ নেবেন।
সেখান থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা করবেন। দুপুরে কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নেবেন। জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি।
Discussion about this post