যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দানে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদ কংগ্রেস যদি বাধা দেয়, তবে এই অনুমোদন কার্যকর থাকবে না।
সৌদি আরব ও আমিরাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অস্ত্র বিক্রির এই অনুমোদন এমন সময় এলো, যখন প্রতিবেশী ইরানের সাথে দেশগুলোর সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে এবং ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা সৌদি-আমিরাত লক্ষ্য করে হামলা জোরদার করছে।
নতুন অনুমোদনে সৌদি আরব দুই কোটি ৩৭ লাখ ডলার ব্যয়ে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য ৩১টি কমিউনিকেশন ও নেভিগেশন টার্মিনাল কিনতে পারবে।
অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছয় কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে বিবিধ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার খুচরা সরঞ্জাম কিনছে।
এছাড়া নতুন অনুমোদনে জর্দানের কাছে যাবতীয় সরঞ্জামসহ ১২টি এফ-১৬সি ব্লক ৭০ যুদ্ধবিমান বিক্রি করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যে মিত্রদের বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে সামরিক সহায়তা দেয়া হবে।
তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইয়েমেনে হামলায় ব্যবহার হয় এমন অস্ত্র সহায়তা সৌদি জোটকে দেওয়া হবে না।
তবে সে অঙ্গীকার ভেঙে নভেম্বরে সৌদি আরবের কাছে ৬৫ কোটি ডলারের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের দেওয়া হয়। তখন এর নিন্দা জানান মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা।
সূত্র : আলজাজিরা