ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি প্রবাসীর হারানো লাগেজ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে, বিমানবন্দরে লাগেজ বেল্ট থেকে এক সৌদি প্রবাসীর ৭ লাখ টাকাসহ লাগেজ হারায়। পরে, প্রবাসীর হারানো টাকাসহ লাগেজ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
ঐ সৌদি প্রবাসী লাগেজ হারানোর পর বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন অফিসে যোগাযোগ করেন। এরপর এপিবিএন কর্মকর্তারা তার লাগেজটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুঁজে উদ্ধার করে। শেষ খবর পর্যন্ত লাগেজটি প্রবাসী রাকিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল ২৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩ টার ফ্লাইটে সৌদি প্রবাসী রাকিব দেশে আসেন। নড়াইল এর কালিয়া থানা নিবাসী রাকিব প্রায় ১২ বছরেরও অধিক সময় ধরে সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। শেষবার সৌদি যাবার প্রায় ৪ বছর পরে আজ দেশে ফিরেন। কিন্তু বিমানবন্দরে এসেই তার লাগেজ, এবং লাগেজে থাকা প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলেন।
সর্বশেষ ৪ বছর পূর্বে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিজের ইকামার মেয়াদ শেষ হবার পরে ফাইনাল এক্সিট ভিসা গ্রহণ করে একবারে দেশে ফিরে আসেন ।
তিনি জানান, লাগেজের ভেতরে ৭টি চেক রয়েছে, যার মূল্যমান প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। বিমানবন্দর এর লাগেজ বেল্ট থেকে লাগেজ ট্রলিতে লোড করার পর পর মুহুর্তের মাঝে তার লাগেজগুলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে কেউ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক এর পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র, জামাকাপড়, নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ইত্যাদি জিনিসপত্রও হারান তিনি।
এরপর আজ ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে লাগেজ উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়া সংবাদমাধ্যমকে লাগেজ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সৌদি প্রবাসী রাকিবের লাগেজটি আজ শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার হয়েছে। তার লাগেজটি চুরি নয়, ভুলে অন্য একজন নিয়ে যান। যে ব্যক্তি তার লাগেজটি নিয়ে গেছিলেন তিনি ভুলে তার লাগেজটি রেখে যান। আমরা ঘটনার সময় ও ঘটনার পরবর্তী সময়ের দীর্ঘ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হারানো লাগেজটি উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দর থেকে কারো লাগেজ বা অন্য কিছু চুরি হওয়ার সুযোগ নেই। এখানে আমাদের এপিবিনের টিমসহ অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে। হয়তো ভুলে একজনের লাগেজ অন্যজন নিয়ে যান। ভুলে এসব লাগেজ নিয়ে গেলেও এপিবিএন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেগুলো ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে।
Discussion about this post