স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ায় কারণে সংক্রমণ বেড়েছে। এছাড়া শিশুদের ভ্যাকসিনও দেওয়া হচ্ছে না। যার কারণে দ্রুত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
সিডিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই থেকে ফ্লোরিডা-টেক্সাস ও জর্জিয়ার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তবে হাসপাতালগুলোর বেডগুলোতে বেশিরভাগই শিশু ও নবজাতক ভর্তি। তাদের মধ্যে ৯০ ভাগের শরীরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
সিডিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন ১৯২টি শিশু কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শিশুদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির দৈনিক গড়ের তুলনায় এই সংখ্যা ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখনো ১২ বছরের কম বয়সীদের করোনা টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়নি। তবে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরের বাইরে বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সিডিসির পরিচালক ওয়ালেনস্কি বলেন, আমাদের শিশুরা পুরোটা সময় যেন সুরক্ষিত পরিবেশে নিরাপদ থেকে শিক্ষা পায় সে কারণে স্কুলের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। আর ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সন্তানদের টিকা দিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে।
ফ্লোরিডায় আলাচুয়া কাউন্টি পাবলিক স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট কারর্লি সাইমন বলেন, স্কুল বোর্ড প্রথম দুই সপ্তাহের জন্য মাস্ক পরার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ফ্লোরিডার গভর্নর স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা নিষিদ্ধ করেন।
তবে স্কুলে মাস্ক পরা ছাড়াও আলো বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি।
সিডিসির পরিচালক জানান, টিকার পূর্ণ ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।
কিন্তু শিশুসহ যারা টিকা নেননি তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি এবং তারা না জেনেই করোনাভাইরাসের নতুন ধরন তৈরিতে সহায়তা করছে বলেও মনে করেন তিনি। সিডিসি পরিচালক বলেন, জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে আমরা টিকা দিতে না পারলে আমরা এই মহামারি থামাতে পারব না।
Discussion about this post