করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স ব্যবসা অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। কুয়েত, ওমানসহ কয়েকটি দেশে আগে থেকেই যেতে পারছিল না রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবান্ধব আবুধাবি ও দুবাই।
আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে এই দু’টি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে বাংলাদেশ থেকে কোনো যাত্রী দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে ই-মেইল বার্তায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ দেশটির সাথে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই দুই ডেস্টিনেশন থেকে অবশ্য যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইটগুলো আসতে পারবে।
একের পর এক আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকায় অনেকটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন বিমান বাংলাদেশ ও বেসরকারি এয়ারলাইন্সের সাথে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীরা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা ভবন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ রাত ১২টা থেকে দুবাই ও আবুধাবিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হতে যাচ্ছে। শুধু বিমান এয়ারলাইন্স নয়, এই রুটে চলাচলকারী যেসব এয়ারলাইন্স ফ্লাইট অপারেট করছে সবার জন্যই।
তারা বলেন, এর আগেই বুধবার ঢাকা থেকে দুপুরে ও সন্ধ্যার পর মোট পাঁচটি ফ্লাইট (আবুধাবি দু’টি ও দুবাই তিনটি) ছেড়ে যাবে। ওই দু’টি গন্তব্য থেকে রাত ১২টার আগেই আবার যাত্রী নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
সূত্রের দেয়া তথ্য মোতাবেক, কোভিডের পর থেকেই মধ্যেপ্রাচ্যের দেশ ওমান ও কুয়েত রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে নেপাল। তবে দুবাই ও আবুধাবি রুটে প্রতি সপ্তাহে বিমানের ১৯টি ফ্লাইট চলাচল করছিল।
এর মধ্যে দুবাইয়ে প্রতিদিন দু’টি (একটি শিডিউল একটি স্পেশাল) করে মোট ১৪টি ও সপ্তাহে পাঁচ দিন একটি করে ফ্লাইট যাচ্ছিল আবুধাবিতে। এর মধ্যে দুবাই রুট বন্ধ হওয়ায় বিমান আর্থিকভাবে বড় ধরনের ধাক্কার মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
Discussion about this post