বিদেশ থেকে আসা বিশেষ ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
তবে এখন এই দিনক্ষণ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
কারণ বিদেশফেরতদের চাপ বাড়ছে। অনেকেই হোটেলে থাকতে চান না।
তারা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে চান।
ফলে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
তাই কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিনের বদলে পাঁচ দিন করার চিন্তা করা হচ্ছে।
এর আগে ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
পরবর্তীতে প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করে ১৭ এপ্রিল থেকে ৫টি দেশে বিমান চলাচলের বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে ঘোষণা করা হয়, প্রবাসীরা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারের পাশাপাশি চাইলে সরকার নির্ধারিত হোটেলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন।
তবে রাজধানীর দিয়াবাড়ি ও হজ ক্যাম্পে সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আবাসন সুবিধা সীমিত।
এ কারণে চাপ সামলাতে বিদেশে বোর্ডিং কার্ড দেওয়ার আগে চেকিং করার সময়ই যাত্রীদের হোটেল বুকিং নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
হোটেল বুকিং না করলে যাত্রীদের বোডিং কার্ড না পান না।
আর হোটেলে খরচ বেশি বলে তারা ভাড়া দিতে চান না।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাদের সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কোয়ারেন্টিনের সময় কমাতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) প্রস্তাব দিয়েছে। বেবিচক বিষয়টি বিবেচনা করছে।
এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
Discussion about this post