গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এ সরকার ভারতের পুতুল সরকার। ভারত যা বলে তাদের তাই শুনতে হয়। কারণ তারাতো ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়নি। ভারতের পরামর্শে দিনের ভোট রাতে করে তাদের কৃপায় ক্ষমতায় এসেছে। এখন তাদের কথা মত সব করতে হয়। সম্প্রতি আমরা দেখেছি ভারত থেকে তাদের মরুব্বি হর্ষবর্ধন এসেছিল। সে কি বলে গেছে তা জাতি জানতে পারেনি। তবে অনুমান করতে পারি যে, সে চুপ থাকতে বলে গেছে। বেশি আওয়াজ করা যাবে না। সে বলে গেছে তিস্তার কথা বলা যাবে না। বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের গাড়ি চলাচল করবে ট্যাক্স দেওয়া হবে না। সরকারও তাই চুপ করে আছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের কন্সফারেন্স হলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলছে না। কাজী জাফর আহমদ বেঁচে থাকলে এই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেন। সবাইকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামতেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপি কোন পথে যাচ্ছে আমি জানিনা। ভারত তোষনের রাজনীতি থেকে সরে না আসলে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে। বিএনপিকে টিকে থাকতে হলে এদেশের মানুষের কথা বলতে হবে। ভারতের আগ্রসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। জিয়াউর রহমানের রাজনীতি ছিল এটাই। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কার বিরুদ্ধে লংমার্চ করে ছিলেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেনতার পৃষ্টপোশক। কাজী জাফর আহমদ ছিলেন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার। তাই বিএনপিকে বলবো আর ঘরে বসে না থেকে সেপ্টেম্বরে জনগণের দাবি নিয়ে রাজপথে নামুন। জনগণ অবশ্যই পাশে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসায় ভারত অনেক লাভবান হয়েছে। তাদের পাওয়ার আর কিছু নাই। ভারতকে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। পাকিস্তান থাকলে ভারত থেকে আসাম এতদিন আলাদা হয়ে যেত। এখনো যে হবে না তা বলা যায় না। বাংলাদেশের উচিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশে থাকা। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ইতিহাস বিকৃতির কথা বলেন। অথচ তিনি নিজেই ইতিহাস বিকৃত করছেন। তিনি বলেছেন ৬দফা বঙ্গবন্ধুর একক মস্তিষ্ক প্রসুত বিষয়। এটা সঠিক নয়। অর্থনীতিবিদ আখলাকুর রহমান, ছাত্তার, আনিসুজ্জামানসহ আরও কয়েকজন সিএসপি অফিসার ৬দফা প্রনয়নে সহায়তা করেছেন।
অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র বিএনপির স্থায়ীকমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, এডভোকেট শফিউর রহমান ভূঁইয়া, এডভোকেট রুহুল আমিন, সেলিম মাস্টার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
Discussion about this post