অপহরণ মামলায় কারাভোগের প্রতিশোধ নিতে চাচার হাতের কব্জি কেটে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন এক ভাতিজা। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মইয়াদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চাচা আলী হোসেন মুন্সি (৫০) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া গ্রামের মৃত নুর আহমদের ছেলে ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। হামলাকারী আলমগীর তার বড় ভাই আশরাফ মিয়ার ছেলে ও পেশায় টমটম চালক।গুরুতর আহত আলী হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আলী হোসেনের এক নিকটাত্মীয় বলেন, আলী হোসেনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে গত ১২ জুন অপহৃত হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ২৬ জুন পেকুয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। তার ভাতিজা আলমগীর ওই মামলার ২ নম্বর আসামি। গত দেড় মাস আগে আলমগীরকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেন। কারাভোগ করে এক সপ্তাহ আগে তিনি জামিনে বের হয়েছেন। এরপর থেকেই মামলার বাদী আপন চাচাকে হত্যার চেষ্টা করে আসছিল আলমগীর।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে আলী হোসেন মইয়াদিয়া স্টেশন থেকে একটি মিশুক গাড়িতে পেকুয়া বাজারের দিকে আসছিলেন। অল্প কিছু দূর গাড়িটি আসার পর আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আলমগীর গাড়িতে বসা আলী হোসেনকে কিরিচ দিয়ে কোপ দেন। তাকে প্রতিহত করতে আলী হোসেন হাত এগিয়ে দিলে কিরিচের কোপে তার ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এ সময় আলী হোসেন পালানোর চেষ্টা করলে হামলাকারী আলমগীর ধাওয়া দিয়ে তার শরীরে আরও ৭ থেকে ৮টি কোপ দেন।
আহত আলী হোসেনকে উদ্ধার করতে গিয়ে কামাল হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হন। বিচ্ছিন্ন হাতের কব্জি সড়কের পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান আলমগীর। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুকুরে তল্লাশি করে বিচ্ছিন্ন হাতটি উদ্ধার করা হয়।
Discussion about this post